বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার সাভারের একমাত্র নারী শহীদ নাফিসা হোসেন মারওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে তিনি জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ পেয়েছেন। গত ৫ আগস্ট সাভারে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাভারের নামাবাজার এলাকায় নাফিজার মামার বাসায় গিয়ে কথা হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শাহাজউদ্দিন সরকার মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিয়েছিলেন নাফিসা।
গত ৫ আগস্ট সাভারের থানা রোড মুক্তির মোড় এলাকায় বেলা ৩টার দিকে আন্দোলনে গুলিতে মারা যান নাফিসা। আবুল হোসেন ও কুলসুম বেগম দম্পতির দুই মেয়ের মধ্যে নাফিসা বড়। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর হলেও বাবার কর্মস্থল টঙ্গী এলাকায় বসবাস করতেন তাঁরা। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সাভারে কলেজে ভর্তি হন। এ সময় পরিবারের বাড়তি উপার্জনের উদ্দেশ্যে তাঁর মা পারি জমান প্রবাসে। নাফিসা তখন বেশির ভাগ সময় থাকতেন সাভারের নামাবাজার এলাকায় মামার বাসায়।
ভেজা চোখে নাফিসার স্মৃতিচারণ করেন তাঁর মা কুলসুম বেগম। তিনি বলেন, ‘মেয়ের ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফার বা গ্রাফিকস ডিজাইনার হওয়ার। রেজাল্ট বের হলে তাকে ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার কথা ছিল। নিজের আয় আর আমার টাকা মিলিয়ে জমি কিনবে, বাড়ি বানাবে এমন স্বপ্ন দেখত সে।’
নাফিসার ছোট মামা হজরত আলী রেজা বলেন, জেদি স্বভাবের নাফিসা ছিলেন তাঁর খুবই আদরের। ৩ আগস্ট থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। ৫ আগস্ট আন্দোলনরত অবস্থায় সাভারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর বাবার ইচ্ছায় টঙ্গীতে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।