শ্রীপুর (গাজীপুর): শ্রীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষ করা হচ্ছে। আর এসব বাগানের উৎপাদিত লিচু দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এ উপজেলার সবচেয়ে বেশি লিচু উৎপাদন হয় পৌর শহরে।
জানা গেছে, শ্রীপুর পৌর শহরের কেওয়া, ভাংনাহাটি, উজিলাব গ্রামে প্রায় সব বাড়িতে লিচুবাগান রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার মাওনা, কাওরাইদ ও তেলিহাটি ইউনিয়নের অনেক গ্রামে লিচুবাগান রয়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু ব্যাপারীরা। বাগানমালিকেরা এরই মধ্যে ব্যাপারীদের কাছে বাগান বিক্রি করে দিয়েছেন। বাদুড়ের হানা থেকে লিচুকে রক্ষা করতে ব্যাপারীরা রাত জেগে লিচুবাগান পাহারা দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের কেওয়া গ্রামে আকন্দ বাড়ির লিচুবাগানে ব্যাপারীরা থোকায় থোকায় লিচু সংগ্রহ করছেন। গাছ থেকে লিচু সংগ্রহ করার পর ব্যাপারীরা দল বেঁধে এসব লিচু বাঁধার কাজ করেন। ব্যাপারীরা ৫০টি করে লিচু একসঙ্গে করে আঁটি বাঁধেন। সন্ধ্যার দিকে ব্যাপারীরা এসব লিচু বিভিন্ন পরিবহনে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান।
পৌর শহরের ভাংনাহাটি গ্রামের লিচুবাগান মালিক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি ৮৫ হাজার টাকা বাগান বিক্রি করেছি। এ বছর বাগানে অন্য বছরের চেয়ে কম লিচু হয়েছে।’
বাগানমালিক ইসমাঈল হোসেন বলেন, ‘এ বছর জেলার বাইরের অনেক ব্যবসায়ীরা এলাকায় লিচুবাগান কিনেছেন। যার জন্য এ বছর ভালো দাম পেয়েছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মুয়ীদুল হাসান বলেন, শ্রীপুর উপজেলায় এ বছর ৭২৭ হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদিত হয়েছে। লিচুর দাম এবার ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক লাভবান হবেন বলে মনে করছেন তিনি।