নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়েছে নগর যুবদলের পদবঞ্চিত নেতা কর্মীরা। আজ বুধবার বিকেলে শহরের প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
আজ (বুধবার) আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। বেলা ৪টার দিকে হঠাৎ করেই নগর যুবদলের পদবঞ্চিত নেতারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় সমাবেশে। বেধড়ক মারধর করা হয় নেতা কর্মীদের। এ সময় একটি মোটরসাইকেল, সমাবেশের মাইক ও রিকশা ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
হামলার পরপর সমাবেশে উপস্থিত নেতা কর্মীরা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের গলি দিয়ে ভাষা সৈনিক সড়ক ধরে পালিয়ে যায়। পরে পুনরায় প্রেসক্লাব এলাকায় জড়ো হয় নগর বিএনপির নেতা কর্মীরা।
এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম জোসেফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল মহানগর যুবদলের কমিটি প্রণয়নের পর অনেক নেতা কর্মী বিএনপি নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ, তারা দিনের পর দিন ত্যাগ স্বীকার করলেও তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সেই ক্ষোভ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম, তারা আমার কথা শোনেনি। মূলত ক্ষোভ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত।
কমিটি নিয়ে বিরোধে এই সংঘাত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই কারণে যদি শক্তি প্রদর্শন করে থাকে, তাহলে আমাদের যুবদলের নেতা কর্মীদের দেখে চোরের মত পালাল কেন? জিয়ার আদর্শের সৈনিকেরা তো পালায় না, তারা লড়াই করে। এরা দলের কেঁউ না।’