নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ১ম থেকে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী নিয়োগবঞ্চিতরা। এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে সনদ পেয়েছি। এই সনদ আমাদের যোগ্যতা প্রমাণ করে। অথচ শূন্য পদ লক্ষাধিক থাকার পরেও আমাদের নিয়োগবঞ্চিত করে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করছে এই সরকার। এই অল্পসংখ্যক নিয়োগবঞ্চিতকে নিয়োগ না দিয়ে, তাঁদের জীবন অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের হাহাকার ও ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া এই সরকারকেই বহন করতে হবে। আজকে আমাদের নিয়োগবঞ্চিত হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রয়েছে এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা, সিদ্ধান্তহীনতা, নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী আইন পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন এবং সর্বোপরি সদিচ্ছার অভাব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘১৮তম ব্যাচ থেকে পাস করলেই সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। তবে ১৮তমদের নিয়োগ কার্যকর করার আগে যেসব নিয়োগবঞ্চিত সনদধারী আছেন, তাঁদের নিয়োগ আগে কার্যকর করতে হবে। এটা আমাদের দাবি, আমাদের অধিকার। সনদ যার নিয়োগ হোক তার।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘গত ২০ মার্চ এনটিআরসিএ অফিসের সামনে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের ফলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমাদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেন। সে সময় তিনি সমঝোতার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, আমরা যদি আন্দোলন ও কর্মসূচির বিরতি নেই, তবে তিনি রোজার ঈদের পরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনায় বসার ব্যবস্থা তিনিই করবেন। এরপর আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান কথা রাখেননি। তিনি বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী রাজি নন।’
আগামী ১৫ জুলাইয়ের আগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় মাধ্যমে নিয়োগ ঘোষণা না দিলে ওই দিন থেকে এনটিআরসিএ ভবনের সামনে ঘেরাও কর্মসূচির পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী, সিনিয়র সহসভাপতি নাসরিন সুলতানা, সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।