অর্থ আত্মসাতের দায়ে সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় আরও তিনজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন সোনালী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম। তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম সোনালী ব্যাংকের কর্মচারী।
আসামি নাইমুলকে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল আমিন উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে এক কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণাভাবে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালী ব্যাংকের ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে গত ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ৮ মার্চ বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।