মাদারীপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ-বাণিজ্যের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শুনানি শেষে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা ও সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজী।
এর আগে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিন শেষ হলে আজ (মঙ্গলবার) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ ছাড়া মামলায় অপর দুই আসামি মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন আদালতে হাজির হননি।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৯ সালের ২৮ মে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স। চলতি বছরের ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, নিয়োগের আগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স জানতে পারে, উদ্ধার করা টাকা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের (চলতি বছরের) ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং আরও বলেন, এই মামলায় জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান, পিয়াস বালা ও হায়দার ফরাজী উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। এ ছাড়া অভিযোগপত্র পেলে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ কমিটির তিন সদস্যদের মধ্যে সভাপতি তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। বর্তমানে তিনি রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের সংযুক্ত আছেন। বাকি সদস্যরা হলেন তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।