গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার মাসুমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. হাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (২৬), একই থানার আমতলী টেরানিরটেক এলাকার মৃত বাবুল খানের ছেলে মো. রনি (৩৫), নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ঘোড়াশাল গ্রামের মো. নুর আলমের ছেলে রবিউল হাসান (৪০), টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. স্বাধীন (৩০), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ জেলার কলাফাতি গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম জাকির (২৫), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার গলাবাধির মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মাসুদ (২৭), টঙ্গী পূর্ব থানার নতুন বাজার এলাকার মো. মোতালেবের ছেলে মো. নাসির (২০), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বলিয়াদী বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নয়ন হাসান (২৮) ও টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ বস্তির মো. আশিক (২২)। এদের বেশির ভাগই টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থাকেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন) মেহেদী হাসান দীপু বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটিতে ঢিল ছুড়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রেনের স্টুয়ার্ডসহ (টিকিট দেখভাল করেন) অন্তত পাঁচজন আহত হন। ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরই রেলওয়ে পুলিশ ও টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ টঙ্গী রেল স্টেশনের আশপাশে অভিযান চালায়। এ সময় ৯ জন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, দুটি সুইচ গিয়ার চাকু, ছিনতাই হওয়া কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আজ গ্রেপ্তারকৃত ৯ জনকে টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়।
টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছোটন শর্মা বলেন, থানার পুলিশের সহায়তায় গতকাল রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯ জন ছিনতাইকারীকে টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তি, কেরানীরটেক বস্তিসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়ে। তাঁদের ঢাকার কমলাপুর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে আদালতে পাঠানো হবে।