‘আমার সমবয়সী পরিচিতরা কেউ আর বেঁচে নেই। দশ বছর আগে স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে পরপারে। ছেলের বউয়ের আমার ভরণ-পোষণ করে। বয়সের কারণে চোখে ভালো ভাবে দেখি না, কানেও কম শুনি। জীবনের শেষ মুহূর্তে চলে এসেছি। এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ ভোট।’
আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বালিয়াখোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ১০১ বছর বয়সী প্রিয়বালা মন্ডল।
বড় পুত্রবধূ রেবা রানী মন্ডলের হাতে ভর দিয়ে তিনি এসেছেন ভোট কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছি। আর হয়তো কোনো দিন ভোট দিতে পারব না। বয়স আমার শেষের দিকে।’
জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে জানা গেছে, বালিয়াখোড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের জ্ঞানেন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী প্রিয়বালা মন্ডলের বয়স চলতি জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ ১০১ বছর পড়বে।
কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, কেন্দ্রের চারটি বুথে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এক হাজার ৯৫৪ জন ভোটারের মধ্যে বেলা বারোটা পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।