ঢাকা: বিমানের ১৭ জন সাবেক সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত হবে কী-না সে বিষয়ে রায় দেওয়া হবে আগামী ২১ জুন। এ সংক্রান্ত একটি রুলের শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সাবেক এই সিবিএ নেতাদের দুর্নীতির তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পদক্ষেপ কি তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানাতে বলা হয় রুলে।
আদালতে আজ শুনানিতে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মানজিল মোরশেদ। অন্যদিকে সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
জানা গেছে, বিমানের সিবিএ নেতা মো. মশিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার, মো. আবুল কালাম, আসমা খানম ও মো. আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য ২০১৪ সালে দুদক নোটিশ দেয়। তবে তারা হাজির হতে অস্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে দুদক আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্নীতির তদন্তের জন্য নোটিশ দেওয়ার পর দুদক আর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিষয়টি সবার নজরে আসে। দুদকের নোটিশ পেয়ে সাড়া না দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান আইনে রয়েছে। অথচ দুদক নিষ্ক্রিয় ছিল। এ কারণেই রিট আবেদন করা হয়েছিল। আদালত প্রথমে রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এখন রায় দেওয়া হবে।