Ajker Patrika

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র: পাঁচটি বন্ধ, নয়টি চলে ঝিমিয়ে, ২০০ কোটিতে একটির উন্নয়ন

  • বন্ধের পেছনে ভুল পরিকল্পনা বা প্রাকৃতিক কারণ
  • বন্ধগুলো কাজে লাগানোর ‘চিন্তাভাবনা চলছে’
  • আধুনিকায়নের ব্যয় বিফলে যাবে না: প্রকল্প পরিচালক
সাইফুল মাসুম, ঢাকা 
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৪: ৩২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ২০টা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বা ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে নানা জটিলতায় ৫টির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৯টি চলছে টেনেটুনে। ভালোভাবে চলছে মাত্র ৬টি অবতরণ কেন্দ্র। এমন প্রেক্ষাপটে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি আধুনিকায়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিএফডিসি

মাছ ধরা ট্রলার বা নৌকা থেকে মাছ নামিয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রাখা হয়। সেখানে মাছ বিক্রির জন্য প্রক্রিয়াকরণ বা সংরক্ষণ করা হয়। এটি মৎস্যজীবীদের সুবিধার্থে সাধারণত সমুদ্র বা নদীর কাছাকাছি স্থানে স্থাপিত হয়।

বিএফডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিএফডিসির বিদ্যমান অবতরণ কেন্দ্রগুলোর কোনোটির কার্যক্রম ভুল পরিকল্পনা আবার কোনোটি প্রাকৃতিক কারণে বন্ধ রয়েছে। বিএফডিসির বন্ধ হওয়া কেন্দ্রগুলো হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, লক্ষ্মীপুরের রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, পটুয়াখালীর মহীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, বরিশালের মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার এবং নারায়ণগঞ্জের পাগলা মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন কেন্দ্র।

এ নিয়ে জানতে চাইলে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, অবতরণকেন্দ্রগুলো বন্ধের পেছনে স্থান নির্বাচনের ভুল এবং প্রাকৃতিক উভয় ধরনের কারণ আছে। কিছু এলাকায় নদীর খাত সরে যাওয়ায় বা নতুন চর ওঠায় অবতরণ কেন্দ্র কাজে আসছে না। লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থান বাছাইয়ে ভুল ছিল। পুরোনো মার্কেট ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় নতুন জায়গায় অবতরণ কেন্দ্র করা হয়েছিল। পরে নদী ভাঙন রোধ হওয়ায় পুরোনো মার্কেটটি রয়ে গেছে। এ কারণে নতুন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটির প্রয়োজন পড়েনি। চেয়ারম্যান বলেন, ‘বন্ধ অবতরণ কেন্দ্রগুলো কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছি।’

ঝিমিয়ে অলাভজনকভাবে চলছে এমন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বা ইউনিটের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের মনোহরখালী মৎস্য অবতরণ, সংরক্ষণ এবং বিতরণ কেন্দ্র। ১৯৯৪ সালে জাপানি অনুদানে ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর উত্তর তীরে স্থাপন করা হয় এটি। কর্ণফুলী নদীতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং নদীকূল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের ফলে মনোহরখালী ইউনিটের মুখ ও নদীর তীর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মৎস্য অবতরণ ও বরফ বিক্রয়সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বিএফডিসির কর্মকর্তারা বলেছেন, নদীর মুখ বন্ধ হওয়ায় ইউনিটটির কার্যক্রম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

টেনেটুনে চলা অন্য মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, খুলনা মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার, পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, সুনামগঞ্জের (ওয়েজখালী) মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, বাগেরহাটের (দ্বিগরাজ, মোংলা) মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন কেন্দ্র।

এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারি মৎস্য বাজারকে আধুনিক করতে ‘কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আধুনিকায়ন প্রকল্প’ হাতে নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বাঁকখালী নদীর পশ্চিম তীরে ১৯৬৫-৬৬ সালে ৩ দশমিক ৭০ একর জমিতে কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছিল। আধুনিকায়নের প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৩২ কোটি টাকার প্রকল্পটিতে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ও বাংলাদেশ সরকার

বিএফডিসির তথ্য অনুসারে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষভাবে ২ হাজার এবং পরোক্ষভাবে মোট ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মৎস্য অবতরণের পরিমাণ বার্ষিক ৭ হাজার টন থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১৪ হাজার টনে উঠবে। বরফ উৎপাদনও বছরে ৫ হাজার থেকে বেড়ে সাড়ে ৭ হাজার টন হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. রাজিবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নকাজ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। আধুনিকায়নে ব্যবহার করা হবে জাপানের উন্নত প্রযুক্তি। আধুনিক অবতরণ কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পে ব্যয় করা অর্থ বিফলে যাবে না।’

প্রকল্পসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অভিমত জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বিএফডিসির সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সামাজিকসহ নানাবিধ কারণে কিছু অবতরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু ক্ষেত্রে আড়তদারদের সিন্ডিকেট দায়ী। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি। কেন্দ্রটির আধুনিকায়ন হলে মৎস্যজীবীরা সুফল পাবেন। তবে জেলেদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। এ ছাড়া কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আশপাশে কিছু জায়গা বেদখল আছে। সেগুলো উচ্ছেদ করে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জের হবে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত