হোম > সারা দেশ > ঢাকা

নাম পরিচয় বদলে ২৭ বছর পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

অজ্ঞাত তরুণীকে (২১) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার ২৭ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। নাম পরিচয় গোপন করে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন কিশোরগঞ্জের ওই ব্যক্তি।

আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল রোববার রাতে সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর উপজেলার বিন্নারবন্দ ঘাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন।

গ্রেপ্তারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম—ওয়াহিদুল্লাহকে (৬৫)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার মৌটুপি গ্রামের মৃত রুপ বাদশাহের ছেলে।

পুলিশ বলছে, ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বিলের ডোবা পানি থেকে ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে ওই মাসেই ভৈরব থানায় ধর্ষণের পর হত্যা মামলা রুজু হয়।

ডিবি পুলিশ বলছে, আসামি ওয়াহিদুল্লাহ রাজধানী ঢাকার গুলশানের বস্তিতে বসবাস করতেন। তিনি তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকার একটি গার্মেন্টসের সামনে গিয়ে বাদাম বিক্রি করতেন। এর সূত্র ধরে ওই গার্মেন্টসের দারোয়ান নিজামের সঙ্গে ওয়াহিদুল্লাহর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর নিজাম তাঁর কথিত স্ত্রীকে (ভুক্তভোগী তরুণী) নিয়ে ভৈরব উপজেলার মৌটুপি গ্রামে ওয়াহিদুল্লাহর বাড়িতে দাওয়াতে আসেন। দাওয়াত শেষে বিকেলে তাঁর কথিত স্ত্রী ঢাকায় চলে যাওয়ার বায়না ধরেন। পরে ওয়াহিদুল্লাহ, নিজাম ও কথিত স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরদিন সকালে ওই কথিত স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পরপরই ওয়াহিদুল্লাহ আত্মগোপনে চলে যান। কিছুদিন ঢাকায় থাকার পর তিনি সুনামগঞ্জে চলে যান। সুনামগঞ্জে কয়লার শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। পরে জমি বর্গা নিয়ে কৃষি কাজ করতেন। এই সময়ের মধ্যে ওয়াহিদুল্লাহ ভৈরবের জমিজমা বিক্রি করে সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার বিন্নারবন্দ এলাকায় অদুদ মিয়া (ছদ্মনাম) নামে স্থায়ী নিবাস গড়ে তোলেন। আসামি ওয়াহিদুল্লাহ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওই এলাকায় নতুন পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন জানান, ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আসামি ওয়াহিদুল্লাহকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপর থেকে ওয়াহিদুল্লাহ প্রায় ২৭ বছর যাবৎ পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থাতেই আদালত তাঁর সাজার রায় ঘোষণা করেন। গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে ওয়াহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম পুলিশ।

ট্রাকচাপায় নারী শ্রমিক নিহত, বিচারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

কালিহাতীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মহাখালীর সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ আগুন, দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

ল্যাসিক মেশিন অকেজো, চিকিৎসাবঞ্চিত রোগীরা

দেশে কিডনি রোগী পৌনে ৪ কোটি

আপনার এলাকায় খুন হচ্ছে, থানায় বসে করেন কী: গভীর রাতে ওসিকে তরুণের জেরা

চাঁদাবাজির অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ সভাপতি জাকিরসহ দুজন গ্রেপ্তার

চীনের সঙ্গে সম্পর্কে ইতিবাচক, ভারতের বেলায় নেতিবাচক মনোভাব বেশি: জরিপ

৭ মাস পর শামীম ওসমানসহ ৪৪ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীকে অপহরণ, থানায় স্ত্রীর মামলা