টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সরকারি সদয় কৃষ্ণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটির দৈন্যদশা দেখে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে তাঁরা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এই সংবর্ধনায় যোগ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতি ওই বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করে। সেই মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিতে গিয়ে উপজেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টির শহীদ মিনারের দৈন্যদশা দেখেন তাঁরা।
মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে শত বছরের পুরোনো সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাত্র সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার একটি শহীদ মিনার। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় শহীদ মিনারের কয়েকটি স্থান ভেঙে খসে পড়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সংস্কার তো দূরের কথা রং করাও হয়নি।
শহীদ মিনারের এমন দৈন্যদশা দেখে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ সময় তাঁরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে এই ক্ষোভ জানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করেননি।
পরে বাধ্য হয়ে মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন মণি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে সুন্দর একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সাত দিনের সময় দেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘শহীদ মিনার মেরামত করা জরুরি। দ্রুতই মেরামত করা হবে।’