গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকবাহী নৌকা আটকে ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামানকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন।
নিহত নুরুজ্জামান উপজেলার সোনাব গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি একজন পোলট্রি ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে ও কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম (২৭), একই ইউনিয়নের পূর্ব সোনাব গ্রামের জামাল ফকিরের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮), কাওরাইদ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (২৫), একই গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে হামিদুল ইসলাম (২৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে রিফাত হোসেন (২৫), জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৬), মজনু মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া (২৫) ও হৃদয় (২৪)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন বন্ধুদের নিয়ে নুরুজ্জামান পিকনিকে যাচ্ছিলেন। শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের ইজ্জতপুর ব্রিজসংলগ্ন ঘাটে নৌকা অপরিচিত চার যুবক জোর করে তাঁদের নৌকায় ওঠেন। পরে নুরুজ্জামানসহ অন্যরা মিলে নৌকা থেকে তাঁদের নামিয়ে দেন। নৌকা ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে সেই ঘাটে তাঁদের নৌকা থামাতে বলা হয়। কিন্তু নৌকা না থামালে সুতিয়া ও খিরু নদীর দুই পয়েন্টে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।
নৌকাটি খিরু নদীর সোনাব গ্রামের আব্দুস ছালামের দোকানসংলগ্ন ঘাটে ভেড়ানো হলে অটোরিকশায় ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গিয়ে তাঁদের ব্যাপক মারধর করে। একপর্যায়ে নুরুজ্জামানসহ কয়েকজনকে তারা নদীতে ফেলে দেয়। কিন্তু অন্যরা তীরে উঠতে পারলেও নুরুজ্জামান ব্যর্থ হন। রাতের এই ঘটনায় পরদিন নদীর তীরের ঝোপ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিকনিকের নৌকা আটকে মারধর করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিরা আইনের আওতায় আসবে।