‘গভীর রাতে ঢেউটিনের শব্দে ঘুম ভাঙলে স্বামী ও দেবর-ভাশুর বাড়ির বাইরে বের হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করা হয়। পরে তারা আমাদের বাড়িতে হামলা-লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে আগুন জ্বালিয়ে বাড়িঘরসহ সব পুড়িয়ে দেয়।’
কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের কৃষক মোস্তফা কামালের স্ত্রী পাপন আক্তার। তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে শতাধিক মুখোশধারী সন্ত্রাসী আমাদের পরিবারের সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বসতবাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট শেষে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। গতকাল রাত থেকে এক কাপড়ে আছি। তারা একটি জামাকাপড় পর্যন্ত রাখেনি। সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে।’
ভুক্তভোগী আব্দুল বারেক বলেন, ‘সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আড়াইটার দিকে টিনের শব্দে ঘুম ভাঙে। এরপর আমরা তিন ভাই বাইরে আসি। সঙ্গে সঙ্গে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে। এরপর ঘরের সব আসবাবপত্র লুটে নেয় এবং বাড়িতে আগুন দেয়। ওরা চলে গেলে আমরা ডাক-চিৎকার শুরু করি। এরপর আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। মুখ বাঁধা থাকায় আমরা কাউকে চিনতে পারিনি। প্রতিবেশী আবুল কালামের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সে কারণেই ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
তবে অভিযুক্ত আবুল কালাম বলেন, ‘যে জমিতে তারা বসতবাড়ি করেছে, সেই জমির মালিক আমি। কিন্তু আমি কোনো সন্ত্রাসী ভাড়া করে বসতবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেইনি।’