মানহানির অভিযোগে ফরিদপুরে করা মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাহাঙ্গীর আলম সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ তাকে আট সপ্তাহের জামিন দেন। আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান।
এর আগে, গত ৩১ আগস্ট এ মামলায় ফরিদপুর আদালত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিভিন্ন জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে ৭ মামলায় তিনি ২২ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীরের একটি মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। ওই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আওয়ামী লীগ, তিনি তাঁর জবাবও দিয়েছিলেন। তবে কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসে। এরপরই ওই বছরের ২৫ নভেম্বর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।
বরখাস্তের পর জানতে চাইলে ওই সময় জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন না। দলের নেত্রীর সিদ্ধান্ত তিনি সব সময় মেনে নেবেন। তবে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে নয় মাস পর আদালতের দ্বারস্থ হলেন জাহাঙ্গীর আলম।