ফরিদপুরে ডিবি পরিচয়ে যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ছয় ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের সদস্য এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগীর নাম কাউছার শেখ (২৬), তিনি সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ভাষাণচর গ্রামের মো. ছাত্তার শেখের ছেলে।
গ্রেপ্তার পাপ্পু ওরফে সুমন কাজী (২৭) ও নিপা বেগম (২৭)। তারা সম্পর্কে স্বামী–স্ত্রী এবং নগরকান্দা উপজেলার গোড়াইল গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে পাপ্পু ওরফে সুমন কাজীর নামে অস্ত্র আইনে মামলাসহ নগরকান্দা ও কোতোয়ালি থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
আজ রোববার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শহরের আলীপুর আলীমুজ্জামান ব্রিজের কাছ থেকে ওই যুবককে অপহরণ করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টায় শহরের গোয়ালচামট এলাকার খোদাবক্স রোডের কসাইবাড়ী থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় শহরের আলীপুর আলীমুজ্জামান ব্রিজের ওপর থেকে কাউছার শেখকে দুই যুবক অপহরণ করে শহরের একটি দোতলা বাড়িতে আটকিয়ে নির্যাতন করে। এরপর তার মোবাইল ফোন নিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং বিকাশ করে দিতে বলে। টাকা না দিলে খুন করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় রাতেই অপহৃত যুবকের মা রানু বেগম (৪৬) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, সন্ধ্যায় বাই সাইকেল চালিয়ে কাউছার শেখ গোয়ালচামটে মামার বাসায় যাওয়ার পথে আলীপুর ব্রিজে পৌঁছালে দুই যুবক গতিরোধ করে এবং ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বলে, তোর কাছে ২০০ ইয়াবা আছে। এ কথা বলে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়।
পরে বাসায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। এরপর রাতে আমাদের কাছে ওর মোবাইল থেকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা চায়, না দিলে মেরে ফেলবে বলে জানায়। আমরা ১৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিই এবং দ্রুত পুলিশকে জানালে রাতেই তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ওসি হাসানুজ্জামান হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় পাপ্পু ও রিয়াদ নামে দুই যুবক কাউছারকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অপহরণ মামলা হিসেবে নেওয়া হয়।
এরপর গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রাতেই তাকে উদ্ধার করি এবং ওই বাসা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিয়াদ নামে একজন পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।’