মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট-সংকট দেখা দিয়েছে। এতে জ্বরে আক্রান্তদের বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে অতিরিক্ত টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব ইনচার্জ শ্যামা প্রসাদ সরকার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার থেকে ডেঙ্গু টেস্টের কিট নেই। কিট না থাকায় ডেঙ্গু টেস্ট হচ্ছে না।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ডেঙ্গু পরীক্ষার ৫০০ কিট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একবার ৪০০ এবং পরবর্তী সময়ে আরও ১০০ কিট পাওয়া যায়। এদিকে প্রতিদিন এই হাসপাতালে ২০-৩০টি কিটের প্রয়োজন হয়। তাই দ্রুতই ওই সব কিট শেষ হয়ে যায়। ফলে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় হাসপাতালে কিট-সংকট চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, বমি ও ঠান্ডা নিয়ে অনেক রোগী আসছেন। তাঁদের অনেককেই ডেঙ্গু টেস্ট দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হাসপাতালে কিট না থাকায় হাসপাতালসংলগ্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে হচ্ছে তাঁদের।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কথা হয় রাহিলা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাচ্চাকে ডাক্তার দেখালে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে বলেন। হাসপাতালে টেস্ট করাতে না পেরে এখানে আসছি।’
উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ডাক্তার ডেঙ্গু টেস্ট করাতে বলেন। তবে হাসপাতালে কিট না থাকায় বাইরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে হচ্ছে।
উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেহেরুবা পান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিটের চাহিদা অনেক। কিট শেষ হয়ে গেছে। ফের চাহিদাপত্র পাঠাব। কিট পেলেই ডেঙ্গুর টেস্ট আবার শুরু হবে।’
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিট শেষ হয়েছে, এমন তথ্য জানা নেই। কিট শেষ হলে লোকালি ম্যানেজ করতে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’