টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজুল ইসলাম রায়হানের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গী সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার মারধরের শিকার ওই কলেজশিক্ষার্থী (১৭) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক শত্রুতার জেরে বুধবার বিকেলে আউচপাড়া এলাকার সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে ছাত্রলীগ নেতা মিরাজুল ও তার সহযোগী রবিউল, নিশান, শান্ত, নাঈম, মাজাহারুল, সিয়ামসহ ১০-১২ জন যুবক ওই কলেজশিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদে কক্ষে নিয়ে তালা বন্ধ করে রাখে।
কিছুক্ষণ পর লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। রাতে আহত অবস্থায় ওই কলেজশিক্ষার্থীকে বের করে দেয় মিরাজুল। পরে সহপাঠীরা আহত ওই কলেজশিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়।
মারধরের শিকার ওই কলেজশিক্ষার্থীকে বলেন, ‘মিরাজের সঙ্গে আমার পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। মিরাজ ও তার সহযোগীরা আমাকে তুলে নিয়ে ছাত্র সংসদে আটকে রেখে মারধর করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযুক্ত মিরাজুর রহমান রায়হান বলেন, ‘ছিনতাইকালে আমার ছোট ভাইয়েরা তাকে আটক করে। পরে সংসদে নিয়ে যায়। আমি তাকে মারিনি।’ টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খান বলেন, ‘ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ অন্যায় করলে তার দায় ছাত্রলীগ নেবে না। আমরা বিষয়টি দেখছি।’
টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জানলাম। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’