গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার অংশের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এমসি বাজার, নয়নপুর, জৈনা বাজার ও মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে খানাখন্দে ভরা সড়কে গতকাল বর্ষার পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
এই মহাসড়ক দিয়ে পণ্যবাহী, গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান ধীরগতিতে চলাচল করছে। এতে যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের ভোগান্তি বেড়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দাবি, ধারাবাহিক বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে মহাসড়কের। তাতেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুরের জৈনা বাজার থেকে মাধখলা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের বেশ কিছু পয়েন্টে খানাখন্দ। কোনো কোনো পয়েন্টে পিচঢালাই উঠে সড়কের নিচ থেকে ইটের সুরকি পর্যন্ত উঠে গেছে। যানবাহন চলাচলের সময় গর্তে জমা পানি ছিটকে পথচারীদের গায়ে পড়ছে।
এমসি বাজার বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ইমাম পরিবহনের চালক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সড়ক ভাঙাচোরা থাকার কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। গাড়িতে অনেক ঝাঁকি হচ্ছে। এ জন্য যাত্রীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। আর সব সময় সড়কে গাড়ির জটলা লেগে থাকে।’
নয়নপুর বাসস্ট্যান্ডে পিকআপচালক নজরুল ইসলাম জানান, খানাখন্দে ভরা ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চালানোয় খুবই সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির ইঞ্জিন বিকলসহ নানা সমস্যা। এক ঘণ্টার রাস্তা অনেক সময় তিন ঘণ্টা লাগছে। তাতে সময় ও তেলের খরচ দুটোই বেশি হচ্ছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘খানাখন্দের কারণে প্রতিনিয়ত মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কের খানাখন্দে ভরা অংশ মেরামতের মাধ্যমে ভোগান্তি দূর করবে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাজীপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহার আগে বেশ কিছু অংশে সংস্কারকাজ করানো হয়েছে। ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে পুনরায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আবার সংস্কার করা হবে।