শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী রিনা বেগমের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের নাজিমপুর গ্রাম থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী সেকান্দার কাজী পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানা যায়, ২০০০ সালে নড়িয়া উপজেলার লোনসিং গ্রামের হারুন রশিদ সরদারের মেয়ে রিনা বেগমের সঙ্গে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের নাজিমপুর গ্রামের সেকান্দার কাজীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। এই দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বামী সেকান্দার বেকার জীবন যাপন করায় তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকত। গত রাতে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে স্ত্রী রিনাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন সেকান্দার। হত্যার পর তিনি পালিয়ে যান।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রিনার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।