সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে আসা বাবা ও ভাইকে তুলে নেওয়ার পর ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির (ডিআইআইটি) শিক্ষার্থী মাসরুর হাসানকে আটকের কথা জানাল গোয়েন্দা পুলিশ। সেই সঙ্গে ভাইকে আটকের কথা জানালেও বাবার বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, মাসরুর ও তাঁর ভাইসসহ তিনজনকে আটক করেছে তারা। পুলিশ সদস্য ও ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি। আটকৃতরা হলেন, শিক্ষার্থী মাসরুর হাসান, মুয়াজ ও মাসরুরের বড় ভাই মেহেদী হাসান।
আজ মঙ্গলবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান ডিবি লালবাগের ডিসি মশিউর রহমান। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের নাম করে পুলিশ সদস্য ও ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মাসরুর, তাঁর ভাই মেহেদী হাসান ও মুয়াজ নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই আটক করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান ব্লক রেইডে ধরপাকড়ের মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির (ডিআইআইটি) শিক্ষার্থী মাসরুর হাসানকে। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। আজ বিকেলে মাসরুরের সন্ধান চাইতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল তাঁর পরিবার। তবে সংবাদ সম্মেলনের আগেই মাসরুরের বাবা ও ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
মাসরুর হাসানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাসরুরের সন্ধান চেয়ে আজ বিকেল ৩টায় ডিআরইউয়ের সাগর–রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। মাসরুরের বড় ভাই মেহেদী হাসান ও তাঁর বাবা আবুল হাসেম রিকশাযোগে ডিআরইউতে যান। বিকেল ঠিক ৩টায় ডিআরইউয়ের সামনে রিকশা থেকে নামামাত্র কয়েকজন ডিবি পুলিশ সদস্য তাঁদের ধরে গলিতে নিয়ে যান। এরপর সাদা মাইক্রোবাসে তুলে সেগুনবাগিচা এলাকা ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সদস্য ও ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ডিআইআইটি শিক্ষার্থী মাসরুরের ভাই মেহেদী হাসানকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁর বাবার বিষয়টি জানি না।’