জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব গান, স্লোগান বা অন্যান্য কার্যক্রম অভ্যুত্থানকে বেগবান করেছে—সেসব নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন ‘আওয়াজ উডা’ অনুষ্ঠান হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ জানে কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়, আমরা চাই হাজার মালভূমির একটা দেশ, সকল মত, সকল পথ, সকল দৃষ্টিভঙ্গি, সকল ভাষা, আমরা চাই পাহাড়ি, বাঙালি, আদিবাসী, আমরা চাই হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলে মিলে এমন একটা দেশ গড়ে তুলি। আদিবাসীদের সম্মান জানাতেই আজকের অনুষ্ঠানে আমরা তাঁদের গান রেখেছি।’
আজ শুক্রবারের এই আয়োজনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই সমবেত সংগীত ‘চল চল চল’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা। সমবেত সংগীত ‘আমরা করবো জয়’ ও ‘নীল নির্বাস’ পরিবেশন করে ডেমোক্রেসি ক্লাউন। এরপর শিল্পী লুম্বিনী চাকমা ‘চকমা ভাষার গান’, ধর্মচন্দ্রা তঞ্চজ্ঞা সন্তোষ ‘তঞ্চজ্ঞা ভাষার গান’, ডিউক মুরমু ‘সাঁওতাল ভাষার গান’, সমাপন স্মাল ‘গারো ভাষার গান’ পরিবেশন করেন। একক সংগীত পরিবেশন করেন আহমেদ হাসান সানী এবং ব্যান্ড সংগীত ‘আদিবাসী গান’ পরিবেশন করে এফ মাইনর। র্যাপ সংগীত পরিবেশন করে যিন ব্রাদার্স এবং হান্নান হোসেন শিমুল ও তার দল। অনুষ্ঠানে সবশেষে সমবেত সংগীত ‘মোরা ঝঞ্জার মত’পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এই আয়োজনের শুরুতে আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদ তাহীর জামান প্রিয়র মা শামসী আরা জামান। জুলাই আন্দোলনে সন্তানের আত্মাহুতি নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি।
এরপর বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদ আশরাফুল।