রাজধানীর তুরাগের একটি ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তুরাগের দক্ষিণ রাজাবাড়ির গাজী মাজাহারুল ইসলামের ভাঙারির দোকান ও অটোরিকশার গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধরা হলেন, ভাঙারির দোকানের মালিক গাজী মাজাহারুল ইসলাম (৪২), অটোরিকশার গ্যারেজের চালক আলম মিয়া (২৫), মো. মাসুদ (২৭), মো. আল আমিন (২৮), মো. মুনসুর (৫০), মো. মিজান (৩৫), নূর হোসেন (৬০) ও শফিফুল ইসলাম (৩২)।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ অগ্নিদগ্ধদের গুরুতর আহত অবস্থায় নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দুই ধাপে তাঁদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বর্তমানে তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় জানান, ওই ভাঙারির দোকান ও অটোরিকশার গ্যারেজ একই সঙ্গে। সেখান হঠাৎ করে কয়েক দফা বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায়। পরে সবাই সহযোগিতায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনেন। এতে গ্যারেজ ও ভাঙারির দোকানের মালিক, অটোরিকশা চালকসহ আটজন আহত হন।
আহতদের বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন আইয়বু হোসেন জানান, অগ্নিদগ্ধদের সবার শরীরের ৯০-৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অন্যদিকে শীপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে আগত অগ্নিদগ্ধ স্বজনদের অভিযোগ, অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো চিকিৎসা করায় নাই। তাঁদের প্রায় এক ঘণ্টা প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়াই হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি।
এসআই আরও জানান, ওই ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে ওসি, ডিসি পরিদর্শনে এসেছিলেন। আহতদের প্রথমে তুরাগে শীপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে (সাবেক ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে প্রথম দফায় পাঁচজনকে এবং দ্বিতীয় দফায় বাকি তিনজনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙারির দোকানে বিভিন্ন মালামাল স্প্রে দিয়ে আলাদা করছিল কর্মচারীরা। ওই সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ডিসি বলেন, কোনোভাবে সেখানে আগুনের সোর্স হয়েছিল। সেখান থেকে এই ঘটনা ঘটে। এতে আটজন আহত হয়েছেন।