নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ীতে পুলিশি বিশেষ অভিযানে দেশে তৈরি দুটি ওয়ান শাটারগান ও চারটি কার্তুজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে থানা-পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের হাজীবাড়ি বালিয়াকান্দি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সকালে পুলিশ বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও ব্যবহার আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলা করে। বিকেলে পুলিশি প্রহরায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপপরিদর্শক ইকবাল ইউসুফ। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আবু হানিফা (৩৫), ফারুক (৩১), রাসেল (৪০), আলী আজগর (২৯) ও কবির (২৮)। তাঁরা সকলে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সমর্থক। গত ২ জানুয়ারি থেকে অস্ত্র, হাতবোমাসহ আশারাফুল হক কারাগারে রয়েছেন।
জানা যায়, বাঁশগাড়িতে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক গ্রুপের মধ্যে চলা আধিপত্য বিস্তার ও ইউপি নির্বাচন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুদিন পরপর টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে। এতে উভয় পক্ষের অনেক লোক নিহত হন। খুনাখুনির পর প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদার নামে চলে নৈরাজ্য।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক ইকবাল ইউসুফ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১ পুলিশ সদস্যসহ গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র রাখা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অস্ত্র আইনে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’