একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে অবৈধ অর্থায়নের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় পলাতক তিন আাসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় আগামী ১০ মের মধ্যে পুনরায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ পলাতক তিন আসামি আতিকুর রহমান আতিক, মো. মাহমুদুল হাসান ও ফয়েজুর রহমানের ট্রাইব্যুনালে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে দুটি পত্রিকার মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিতে ভুল থাকায় পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় র্যাব-৩ এর ডিএডি (নায়েব সুবেদার) বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ও ২০১৩ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৭ / ৩০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মতিঝিল সিটি সেন্টারে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড কর্পোরেশন অফিসে বিপুল পরিমাণ অর্থ মজুদের অভিযোগ পায় র্যাব-৩। সেই সংবাদ পেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে এ এম হায়দার আলীকে (২৪) আটক করে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করে র্যাব। একই কাজে ব্যবহারের জন্য আরও ৫ কোটি টাকা মানিটারি এক্সপ্রেস অফিসে রেখে আসার কথা সে স্বীকার করে।
এ ঘটনায় ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা হলেন—এ এম আলী হায়দার নাফিজ, জয়নাল আবেদীন, মো. আলমগীর হোসেন, মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু, আতিকুর রহমান আতিক ও মো. মাহমুদুল হাসান। পরে চার্জশিটে এই ছয়জনের সঙ্গে মো. ফয়েজুর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়। ২০২১ সালের ১৩ জুন সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব।
আসামি নুরউদ্দিন আহমেদ অপু তারেক রহমানের পিএস ও শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন।
আসামিদের মধ্যে আতিকুর রহমান আতিক ও মো. মাহমুদুল হাসান শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। আর ফয়েজুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক হন। আর নাফিজ ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। শুনানিকালে অপুসহ কারাগারে থাকা বাকি চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।