মানিকগঞ্জের পদ্মায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে ফেরি দুর্ঘটনার বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া ফেরি দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে না। তবে প্রাথমিকভাবে আমাকে বলা হয়েছে, ওখানে ফেরি নোঙর করা ছিল। বাল্কহেড ধাক্কা দিয়েছে। আমি এই মুহূর্তে বলতে পারব না আসলে কোনটা সত্য।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখানে অন্য কোনো দুর্বলতা বা অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, এর মধ্যে বলতে পারি না। তবে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, বাল্কহেডের ধাক্কায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওটা নোঙর করা ছিল ঘাটের খুব কাছাকাছি।’
ফায়ার সার্ভিস সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এটি ছোট ইউটিলিটি ফেরি। ফেরিতে যখন যানবাহন ওঠে, তখন ব্যালেন্স করে রাখা হয়। রাত দেড়টার সময় সেটি ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল কি না, সেটা একটি ব্যাপার। সেই ব্যালেন্স করা ঠিক ছিল কি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সচিব ঘটনাস্থলে রয়েছেন, সেখান থেকে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে থেকে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার দরকার সেগুলো তিনি নেবেন।’
আগের তদন্ত রিপোর্টগুলো বাস্তবায়ন করা হলে আবার এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না, এ বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আসার পর প্রত্যেকটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফগ লাইট কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। সে জন্য সেটা নিয়ে মামলা হয়েছে।’