ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের ২৩৬৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৭১ দশমিক ৭১ বিঘা ভূমি ক্রোক এবং ১১৬টি ব্যাংক হিসেবে রক্ষিত ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি, মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা ও ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব এবং ছোট বউ শাম্মী আক্তার শিউলির মালিকানায় এসব সম্পদ রয়েছে।
ঢাকার সাভারের ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ, ময়মনসিংহের ভালুকার ৯৫৮ শতাংশ, গাজীপুরের ৮৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং নরসিংদীর শিবপুরের ১৯৮ দশমিক ০১ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ার ১৬৬ শতাংশ ভূমি এবং মিরপুরের ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের ১১৬টি হিসাবে রক্ষিত ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা এবং ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক অনুসন্ধান শুরু করে উপরোক্ত সম্পদের সন্ধান পায়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান এবং তাঁর পরিবারের লোকজন ওই সম্পদ বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি তাঁদের সম্পদ বিক্রি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা অন্যত্র স্থানান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার তো মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্পদ ক্রোক এবং জব্দের নির্দেশ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ জুন মতিউর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন একই আদালত। দুদকের আবেদনে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।