করোনার বুস্টার ডোজ টিকা নিতে কোনো ধরনের নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। টিকা গ্রহণের জন্য খুব শিগগিরই সারা দেশে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া মানুষের কাছে এসএমএস চলে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আজ বুধবার সকালে এ কথা জানান তিনি।
আজ সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামে অবস্থিত এক্সিকিউটিভ গ্রীনটেক্স কারখানার শ্রমিকদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এ সময় তিনি বলেন, বুস্টার টিকার কোনো সংকট দেখা দেবে না। দেশে করোনার পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে। এখানে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গ্রাম পর্যায়েও টিকা নেওয়া মানুষ বুস্টার ডোজ পাবেন। নিবন্ধন ছাড়াই নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ টিকা।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির কথা টেনে এনে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে ওই সময় কারখানা খুলে দেওয়ার সাহস পেয়েছি। সে জন্য বিশ্ববাজারে পোশাক কারখানা জীবিত রয়েছে।’
গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটা মোদির দোকান নিয়ে বসেছি। এখানে যে ধরনের টিকা প্রয়োজন, সব ধরনের টিকা আমাদের মজুত রয়েছে।’
টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন, ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসের পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষণ দাস।
উল্লেখ্য, ওই কারাখানার তিন হাজার শ্রমিককে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়।