বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত সাত মাস বয়সী হোসাইনকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি নামের এক হিজড়া শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে আজ শুক্রবার তার নানির কাছে দিয়ে এসেছেন। বৃষ্টি ও চম্পা নামে দুই হিজড়া গতকাল শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি আরও বাড়ে। বৃষ্টির মধ্যেই স্বামী-সন্তানদের নিয়ে মিরপুর-২ নম্বর হাজি রোডে ঝিলপাড় বস্তিতে মায়ের কাছে বেড়াতে আসেন মুক্তা আক্তার। রাতে বৃষ্টি কিছুটা কমে এলে মুক্তা তাঁর স্বামী, সন্তানসহ নিজের বাসার উদ্দেশে রওনা হন। পথে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান মুক্তা, তাঁর স্বামী মিজানুর রহমান ও মেয়ে লিমা। এ সময় মুক্তার কোলে থাকা শিশু হোসাইন পানিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়। এ সময় মুক্তা ও তাঁর স্বামী-সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনিক (২০) নামের এক তরুণের।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে আজ শুক্রবার দুপুরে গিয়ে পাওয়া যায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনদের।
আহত শিশু হোসাইনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বৃষ্টি বলেন, ‘আমার বাসা ঘটনাস্থলের পাশেই। হঠাৎ আহাজারি শুনে বের হয়ে দেখি পানিতে লাশ ভাসছে। এই সময়ে একটা ট্রাক যাওয়ার ঢেউয়ে শিশুটি রাস্তার পাশে চলে আসে। তখন কেউ একজন শিশুটিকে টান দিয়ে তুলে নেয়। পানি থেকে তুলে শিশুটিকে রুমে নিয়ে একটু পরিষ্কার করা হয়। পরে আমি নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যাই। শিশু হাসপাতালেও এনেছিলাম। কিন্তু তারা রাখেনি। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তাররা চিকিৎসা দিয়েছে। এখন ছেলেটা ভালো আছে। তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় দিয়ে এসেছি।’