হোম > সারা দেশ > ঢাকা

নাশকতার তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ১০০ নেতা-কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ শাসন আমলে নাশকতার ঘটনায় করা তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০০ নেতা-কর্মী। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক পৃথক আদেশে মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেন।

আদালতের অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পল্টন থানার এক মামলায় ৪৫, বংশাল থানার এক মামলায় ৪৫ ও সবুজবাগ থানার এক মামলায় ১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালে এসব মামলা করা হয়। আজ অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করলে আদালত আসামিদের অব্যাহতি দেন। পৃথক তিন মামলার আদেশে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কোনো উপাদান নেই।

পল্টন থানার মামলা

পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪৫ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই মামলা করা হয়েছিল।

অব্যাহতি পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে আছেন বিএনপির সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর পল্টনের ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের সামনে খোকনের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী জড়ো হন।

একপর্যায়ে তাঁরা জনগণের চলাচলে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন। তাঁরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় খোকন, মিলন, অ্যানি, টুকু, মজনু, নীরবসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ জুন মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

বংশাল থানার মামলা

বংশাল থানার মামলা থেকে সৈয়দ মনজুরুল হক, মনু আহমেদ, নাদিম, মো. সুমনসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি দেন আদালত। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে বংশাল থানার গোবিন্দ দাস লেনের কাউস মঞ্জিলের সামনে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং মারধর করে কয়েকজনকে গুরুতর জখম করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনই রাতে গোবিন্দ দাস লেনের বাসিন্দা মো. জাহিদ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তদন্ত শেষে ২০১৯ সালে ৪৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

সবুজবাগ থানার মামলা

সবুজবাগ থানার আরেকটি নাশকতার মামলায় স্থানীয় বিএনপির নেতা রতন, আশরাফুজ্জামান, নাসির ওরফে বেকারি নাসিরসহ ১০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়া এলাকায় বিসিবি গার্মেন্টসের সামনে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেআইনি সমাবেশ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেন, পুলিশকে মারধর করেন, যানবাহন ভাঙচুর করেন—এই অভিযোগে সবুজবাগ থানার এসআই সুজন বাদী হয়ে চব্বিশ সেপ্টেম্বর ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ দশজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন