শতভাগ আবাসিকীকরণসহ সাত দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নারী শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
এর আগে রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানান তাঁরা।
নারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রথম বর্ষেই শতভাগ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; সেই সঙ্গে অবিলম্বে গণরুম বিলুপ্ত করা। অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর গণরুমপ্রথা তুলে নিয়ে পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; নতুন ছাত্রী হল চালু না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন ভবনে বা ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি প্রদান ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার ঘোষণা দিতে হবে; ছাত্রীদের নতুন হল বাধ্যতামূলকভাবে মূল ক্যাম্পাসের ভেতরেই নির্মাণ করা এবং দ্রুত নির্মাণকাজ দৃশ্যমান করতে হবে; অনতিবিলম্বে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক ছাত্রীদের হল কার্ড জমা দানপূর্বক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যেকোনো হলে প্রবেশ এবং ডাইনিংসহ অন্যান্য সুবিধা গ্রহণের অনুমতি দিতে হবে; ক্রমান্বয়ে প্রতিটি হলে ডাবলিং ব্যবস্থা তুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; নতুন ভবনে স্থানান্তরের মাধ্যমে মৈত্রী এবং বঙ্গমাতা হলকে ধারাবাহিকভাবে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করতে হবে।
প্রতীকী অনশন ও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী সায়মুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীরা এসে ক্লাস করে, তাদের হলে সিট দেওয়া হয় না। দিনের একটা সময় তাদের বাসেই কেটে যায়। আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নারী শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এটি অল্প সময়ে সম্ভব না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে অনেকে ভবন আছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই ভবনগুলো লিজ নিয়ে প্রাথমিকভাবে আবাসনের যে সংকট রয়েছে, তার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।’