জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গবেষকেরা প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একটি নতুন প্রযুক্তির কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। তাঁরা
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার থ্রিডি ডকুমেন্টেশন রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত যেকোনো স্থাপনার হুবহু প্রতিলিপি তৈরি করা সম্ভব। আজ মঙ্গলবার জাবির জহির রায়হান অডিটরিয়ামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন গবেষকেরা।
সেমিনারে গবেষকেরা দাবি করেন, অ্যানালগ পদ্ধতিতে একটি স্থাপনার থ্রিডি ডকুমেন্টেশন তৈরি করতে দুই থেকে তিন মাস সময়ের প্রয়োজন। সেখানে নতুন এই প্রযুক্তিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার প্রতিলিপি তৈরি করা সম্ভব। যেটা এর আগে বাংলাদেশে কখনো হয়নি।
এ সময় খুবির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম মাসুদ রেজা বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনৈতিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক জায়গায় প্রত্নতাত্ত্বিক ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এসব নিদর্শন সংরক্ষণে সনাতন পদ্ধতিতে দ্রুত সময়ে ডকুমেন্টেশন তৈরি করা সম্ভব নয়; কিন্তু উন্নত প্রযুক্তির সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই যেকোনো স্থাপনার থ্রিডি ডকুমেন্টেশন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।’
জাবির কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা পুনরুদ্ধারের জন্য দেশের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে বেশি অর্থ খরচ করে কাজ করাতে হতো। এখন নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিশ্বমানের থ্রিডি ডকুমেন্টেশন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাবির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নূরুল কবির, ‘সাইয়ার্ক’-এর ডিরেক্টর ক্যাসি হ্যাডিক, অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।