ঢাকা: পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। মামলার তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, মামলায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তথ্য প্রমাণ এবং একই বিষয়ে পূর্বে মামলা ও জিডি থাকায় হত্যার জট খুলতে বেগ পেতে হয়নি। তাই হত্যাকাণ্ডের ১২ দিনের মাথায় তদন্তের কাজ অনেকাংশ শেষ হয়েছে।
অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলায় আমরা এরই মধ্যে গুছিয়ে এনেছি। তদন্ত একদম শেষ পর্যায়ে। এজাহার নামীয় কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হওয়া বাকি আছে। তাঁদেরও আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
এদিকে বুধবার রাতে পল্লবীর সিরামিক রোডে অভিযান চালিয়ে রাসেল হোসেন বাবু ওরফে কালা বাবু নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায় আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বাবু এজাহারভুক্ত ১৮ নম্বর আসামি। র্যাবের দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ছাড়াও কালা বাবুর বিরুদ্ধে হত্যা চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদকের মামলা আছে।
গত ১৬ মে বিকালে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর সড়কে সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁর মা আকলিমা বেগম ২০ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, এ হত্যা মামলায় পরিকল্পনাকারী লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ এমএ আউয়াল। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি সাতজন এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি চারজন। এ ছাড়া সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া মানিক ও মনির নামের দুই আসামি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে পাঁচজন। তিনজন এখনো ডিবির রিমান্ডে আছে। আগামীকাল শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করা হতে পারে।
সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করায় নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সাহিনুদ্দিনের পরিবারের ১০ একর জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেড। যার মালিক সাবেক এমপি আউয়াল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জমি দখল করতে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়।