ঢাকা শহরে মানুষ এবং যানবাহন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকা শহরে যানবাহনের গতি মানুষের হাঁটার গতির চেয়েও কম হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হলরুমে আয়োজিত রাজস্ব বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, শুধু বাসাবাড়িতে থাকলে হবে না। আমাকে অফিসে যেতে হবে, হাসপাতাল যেতে হবে, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে নিতে হবে, বাজারে যেতে হবে। চলাচলের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা না রেখে শুধু বিল্ডিং করে মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করলে ঢাকা শহর বসবাসের উপযোগিতা হারাবে। এ সময় নাগরিক সেবা হয়রানিমুক্ত ও সহজ করতে অটোমেশনের আওতায় এনে রাজধানীতে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সার্ভিসের জোন ভিত্তিক দাম নির্ধারণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘গুলশান-বনানী-বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা এবং যাত্রাবাড়ির পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ যদি সমান হয় তাহলে সবাই তো অভিজাত এলাকায় থাকতে চাইবে। কেউ তো যাত্রাবাড়ী বা কম সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এলাকায় থাকবে না। তাই জোনভিত্তিক সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবি।’
তাজুল ইসলাম জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমতাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রতিটি নাগরিকদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করে। গরিবদের টাকা দিয়ে তো ধনীদের সাবসিডি দেওয়ার সুযোগ নেই।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ভালো শিক্ষা স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা বলে সবাই ঢাকায় থাকতে চায়। বিশ্বের সকল দেশের মানুষ সে দেশের মেইন সিটিতে থাকে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি সারা দেশের মানুষকে ঢাকায় নিয়ে আসব কিনা।’
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, দা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।