সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কয়লার সংকটে বন্ধ থাকা প্রথম ইউনিট আগামী সপ্তাহে পুনরায় চালু করা হবে। এ ছাড়া সব ধরনের পরিবেশগত বিষয় বিবেচনা করে প্ল্যান্ট পরিচালনা করা হচ্ছে, যার কারণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে। এ ছাড়া কয়লার সংকটে বন্ধ থাকা প্রথম ইউনিট আগামী সপ্তাহে পুনরায় চালু করা হবে।’
এর আগে সকাল ১০টায় প্রণয় ভার্মা তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আসেন। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। এ সময় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা হাইকমিশনারকে কেন্দ্রের বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ আকরাম উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডেসহ ইন্ডিয়া হাইকমিশন ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণকাজ। প্রায় ৯ বছর বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে একই বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম বোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং এক দিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় এবং জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। পরের বছরের ১৪ জানুয়ারি কয়লার সংকটে বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন।