খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হবে ১১ জানুয়ারি। কুয়েটসহ ১১ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। এবার ১ হাজার ৬৫ আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ২৪ হাজার ৫২৭ জন।
আসনপ্রতি পরীক্ষার্থী ২৩ জন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। মুক্তহস্ত অঙ্কনের সময় বেলা পৌনে ১টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম জানান, প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ১১ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং মুক্তহস্ত অঙ্কন বেলা পৌনে ১টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদসমূহে ১৬ বিভাগে ১ হাজার ৬৫ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে; যার মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫টি আসন সংরক্ষিত। ভর্তি পরীক্ষায় ২৪ হাজর ৫২৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। ৩ ঘণ্টাব্যাপী ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বি.আর্ক কোর্সে ভর্তি-ইচ্ছুক প্রার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষা ছাড়াও আলাদাভাবে ১ ঘণ্টার ১০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ বছর প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা কুয়েটে ছাড়াও খুলনার ১০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রেভারেন্ড পল্স হাইস্কুল-খুলনা, হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-খুলনা, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজ-খুলনা, সরকারি মহিলা কলেজ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজ, সরকারি এমএম সিটি কলেজ ও সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ।
এর আগে মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মদ মাছুদ। তিনি বলেন, কুয়েটকে যেকোনো মূল্যে সেশনজটমুক্ত আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পূর্বের বিভিন্ন অনিয়ম ও অন্যান্য কারণে ১৯ শিক্ষককে চাকরি থেকে খারিজ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ৭ শিক্ষক, ৯ কর্মকর্তা, ২ কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ১৫ জনকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। অপরদিকে ৫৮ জন নতুন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।