বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) আজ বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মেরিন লিটার অ্যান্ড কোস্টাল ইকোসিস্টেম নেক্সাস (ম্যারিনেক্স)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম শুরু হয়েছে। সামুদ্রিক বর্জ্য, উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র ও জীবিকার মধ্যে আন্তসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় করা এই আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের মূল লক্ষ্য।
তিন দিনব্যাপী এই সিম্পোজিয়ামে সাতটি দেশের ২৬০ জনের অধিক শীর্ষস্থানীয় গবেষক ও নীতিনির্ধারক, সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন যোগদান করছেন। এই সিম্পোজিয়ামে ৭টি বৈজ্ঞানিক সেমিনার এবং পোস্টার সেশনে ২০০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়া থাকছে দুটি প্যানেল আলোচনা এবং সুন্দরবনে শিক্ষাসফর, যা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করে দেবে।
ডয়চে গেজেলশাফট ফ্যুর ইন্টারন্যাশনালে জুসামেনআরবেইট (জিআইজেড)-বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবনস ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া অব সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ইন বাংলাদেশ (এসওএনজি) প্রকল্পের মাধ্যমে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) সার্বিক সহায়তায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্সেস ডিসিপ্লিন (এফএমআরটি) এবং জার্মানির বাউহাউস-বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এই সিম্পোজিয়াম আয়োজন করেছে।
উদ্বোধনী দিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সামুদ্রিক বর্জ্য মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিআইজেড বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য বিভাগের মুখ্য উপদেষ্টা স্টেফান আলফ্রেড গ্রোয়েনেওল্ড এবং বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ। নিজ নিজ বক্তব্যে গ্রোয়েনেওল্ড অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় পরিবেশ সংরক্ষণে জিআইজেডের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং রউফ সামুদ্রিক ও উপকূলীয় পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। লিবনিজ সেন্টার ফর ট্রপিক্যাল মেরিন রিসার্চ ও ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানগ্রোভ ইকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মার্টিন জিমার ব্লু কার্বন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ম্যানগ্রোভ বনের আন্তসম্পর্ক নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে সিম্পোজিয়ামের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দ্বিতীয় দিনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাজমুল আহসান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।
সিম্পোজিয়ামের শেষ দিন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে শিক্ষা সফরের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর সামুদ্রিক বর্জ্যের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। এ ছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময়ের দ্বারা তাদের জীবিকার ওপর সামুদ্রিক বর্জ্যের প্রভাব সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণাও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তৈরি হবে।