সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের এক কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। প্রতারকেরা নিজেদের যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থী উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের দুলাবালা গ্রামের প্রদীপ মারির মেয়ে। তাঁর নাম উর্মিলা মারি। তিনি রাজবাড়ী কাটুনিয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে উর্মিলা মারি বলেন, 'গতকাল মঙ্গলবার কলেজে আসার পর অজ্ঞাত দুটি নম্বর থেকে ফোন আসে। তারা নিজেদের যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। প্রথমে তারা আমাকে আমার নাম, বাবার নাম ও কলেজের নাম জানায়। তারা আমাকে আরও জানায়, তুমি বিশাল অঙ্কের টাকা পেতে যাচ্ছ। সে সময় তারা আমার ব্যবহৃত বিকাশ নম্বরের পিন নম্বর দিতে বলে। আমি টাকা পাওয়ার আশায় সরল বিশ্বাসে পিন নম্বর তাদের দিই। এরপর তারা ট্রানজেকশনের কথা বলে এবং টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে আমাকে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা বিকাশে পাঠাতে বলে। আমি তখন বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে কদমতলা বাজারের বিকাশের দোকান থেকে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা পাঠাই। কিছুক্ষণ পর তারা আবারও আমাকে কাউকে না জানিয়ে ৬ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। ৬ হাজার টাকা পাঠানোর পর তারা বলে আরও ১৬ হাজার টাকা পাঠাতে। এভাবে মোট ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা আমি তাদের পাঠাই।'
ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থী আরও বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমার সন্দেহ হলে আমি কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল ওহাবকে জানাই। তিনি তাৎক্ষণিক কালীগঞ্জ থানায় ঘটনাটি অবহিত করেন। খবর পেয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজে পৌঁছান। ঠিক সে সময় প্রতারক চক্র ফোন করে আবারও আমার কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা দাবি করে। তখন ফোনটি পুলিশ পরিদর্শকের কাছে দিলে তিনি প্রতারক চক্রের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতারক চক্র মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।'
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।'