আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, ‘বিএনপিকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিশ্বাস করে না। তাদের বলা যেতে পারে, এন্ট্রি আওয়ামী লীগ—দেশবিরোধী দল বা শক্তি। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ঘাতক দালালদের যে শক্তি; সেই শক্তির প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে বিএনপি। তারা নির্বাচনে আসুক বা না-ই আসুক। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে যাব।’
আজ রোববার যশোরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে আবারও চক্রান্ত শুরু হয়েছে মন্তব্য করে কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আস্তে আন্তে চক্রান্তকারীদের দাঁত ও নখ বের করা শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রে তারা (বিএনপি) অর্থও ব্যয় করছে।’
কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘আপনারা শুনলে অবাক হবেন, আমেরিকা-ইউরোপের বিভিন্ন লবিস্ট নিয়োগ করে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীকে রক্ষা করতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। তারা এসব লবিস্টকে বিদেশে টাকা দিয়ে বসিয়ে রেখে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
‘এবারের নির্বাচনে আমাদের পরিকল্পনা হবে, আওয়ামী লীগের যে ৫০ ভাগ ভোটার রয়েছে, তাদের সবার কাছে যাওয়া। আর তাদের ভোট চূড়ান্ত করা। ভোটে কে আসল; না আসল—সেটা আওয়ামী লীগের বিষয় না। দেশে যে সংবিধান আছে; সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘এই সরকারের হাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এই উন্নয়নের বার্তা আমরা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি না। আমরা প্রচারে দুর্বল। এসব কথা চিন্তা করেই আমরা জেলায় জেলায় স্মার্ট কর্নার চালু করছি। সরকারের নানা উন্নয়নের সমালোচনা করে বিরোধীদলীয় শক্তিরা। এই স্মার্ট কর্নার থেকে সেই সমালোচনার জবাব দেবে। সত্যিকারের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করবে। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পর্যায়েও স্মার্ট কর্নার চালু করা হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু।
শেষে সারা দেশে বিএনপির অগ্নি-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।