খুলনা পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে, ওই চেয়ারম্যানকে তাঁর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। বহিষ্কার হওয়া লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন কাজল কান্তি বিশ্বাস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটা দেখে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া নৈতিকতা ও ওই পদের জন্য অবমাননাকর। এ কারণে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী তাঁকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি তাঁকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে তাঁকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও দেখা গেছে, সেটি কেটে ছেঁটে করা হয়েছে। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাতে চাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পরাজিতরা। আমাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলেছে। আমি উত্তর দেব, পাশাপাশি আইনি লড়াই করব।’