মেহেরপুরের গাংনীতে শাশুড়ি রঙ্গিলা খাতুনকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামাতা বাদশা মিয়াকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদী গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত বাদশা করমদী গ্রামের সাহাবুর পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই বাদশা পালিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাদশাকে করমদী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাদশার বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আজ বুধবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
উল্লেখ্য, বাদশা মিয়ার সঙ্গে শওকত আলী ও রঙ্গিলা খাতুন দম্পতির মেয়ে রিমি খাতুনের (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁদের সংসারে শুরু হয় নানা রকম ঝামেলা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী রিমির সঙ্গে বাদশার কথা-কাটাকাটি হলে আত্মহত্যা করতে যান। এ সময় শাশুড়ি তাঁকে বাধা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাশুড়িকে কুপিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই মারা যান রঙ্গিলা খাতুন। ঘটনার সময় রিমি খাতুন বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করা হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হন রিমি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।