নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে। আমরা সবাই তাদের এই দানকে স্বীকার করি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’
আজ শুক্রবার সকালে খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের ৫৬ বছরপূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেন।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ আয়তনে ছোট হলেও এটি অনেক বড় বড় ব্যক্তির জন্ম দিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে এই কলেজের অবদান অনেক। তবে অনেক পুরোনো কলেজ হিসেবে এর অবকাঠামোর যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিল ততটা হয়নি। কলেজটির সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন জানিয়ে কলেজের উন্নয়নে অনুষ্ঠানে উত্থাপিত তিনটি দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন এই উপদেষ্টা।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘একসময় খুলনা শহরে মোংলা পোর্টের অফিস ছিল। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সবার প্রয়োজনে আবার এই অফিসটি খুলনা শহরে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট, তাই এটিকে বাঁচিয়ে রাখা ও আরও কার্যকর করার দায়িত্ব আপনাদের সকলের। এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ না হলে বন্দরটির পূর্ণ বিকাশ হবে না, এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ট্যারিফ কমিয়ে আমদানিকারকদের এ বন্দর ব্যবহারে আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জাতীয় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান।
সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পুনর্মিলনী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পুনর্মিলনী উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব মোল্লা মারুফ রশীদ।