দুই পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। একজন খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) লাবণী আক্তার, আরেকজন মাগুরা পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।
কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি লাবণী আক্তারের দেহরক্ষী ছিলেন। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা।
জানতে চাইলে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘দুটি ঘটনার কোনো যোগ সূত্র আছে কী না, তা আমার জানা নেই। তা ছাড়া আমি তাঁদের চিনিও না। তবে মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন, প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।’
লাবণীর পারিবারিক সূত্র বলছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
বিসিএস ৩০ তম ব্যাচের কর্মকর্তা লাবণী আক্তার দুই দিন আগে ছুটিতে মাগুরায় আসেন। তাঁর বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে। লাবণীর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন। তাঁদের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
লাবণীর বাবা খন্দকার শফিকুল আজম আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। স্বামী-স্ত্রীর এই দ্বন্দ্বের কারণেই সে আত্মহত্যা করতে পারে। এ ঘটনার ১৫ দিন আগে এবং সপ্তাহখানেক আগে দুই দফায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল লাবণী।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইনসের ব্যারাক থেকে মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ছাদে গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের ধারণা, নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। সারা রাত তিনি ডিউটি করেন। ডিউটি শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। একটি মাত্র গুলি তাঁর থুতনি দিয়ে ঢুকেছে।
আরও পড়ুন: