যশোরে মিথ্যা মানব পাচার দমন আইনে মামলাসহ একাধিক মামলা করে হয়রানির অভিযোগে শ্বশুরের করা মামলায় সাবেক পুত্রবধূ শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের একজন বেঞ্চ সহকারী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করেন সদরের বারীনগর মানিকদিহি গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান।
মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার এ আদেশ দেন। আসামি শারমিন আক্তার যশোর সদরের বাগডাঙ্গা গ্রামের হজরত আলী গাজীর মেয়ে।
মতিয়ার রহমানের অভিযোগে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ তাঁর ছেলে মামুনের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়। নানা কারণে একই বছরের ২ জুলাই মামুন শারমিনকে তালাক দেন। এরপর থেকে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন শারমিন। একের পর এক মামলা দিতে থাকে আদালত ও থানায়। পঞ্চমবারের মতো ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মামুনের বিরুদ্ধে মানবপাচার দমন আইনে শারমিন একটি মামলা করেন।
এ মামলায় শারমিনকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বেনাপোলের একটি অপরিচিতের বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা করার অভিযোগ তোলা হয় মামুনের বিরুদ্ধে। পরে শারমিন আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় মামুনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘ঘটনার দিন মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মামুনের অবস্থান ঢাকায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া শারমিনের করা একাধিক মামলা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামুনকে হয়রানির উদ্দেশ্যে শারমিন একের পর এক মামলা করেছেন। অন্যান্য দায়েরকৃত মামলারও তদন্তে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
মানব পাচার মামলা মিথ্যা হওয়ায় মামুনের বাবা শারমিনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করে আসামি শারমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।