জীবন বাঁচলেও বেপরোয়া গতির ট্রাকের চাপায় দুমড়েমুচড়ে গেছে আরিফুল নামের এক যুবকের স্বপ্ন। কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বারোমাইলে আজ শুক্রবার ট্রাকের চাপায় শরিফুলের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
ট্রাকের চাপায় কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শরিফুল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার বারোমাইল এলাকায় একটি ট্রাক আরেকটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বেপরোয়াভাবে এসে আরিফুলের অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। কিন্তু ট্রাকটি পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে অটোরিকশাচালক আরিফুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আরিফুল বলেন, ‘গ্যাস নেওয়ার জন্য রূপপুরে যাওয়ার পথে বারোমাইলে আমার অটোরিকশাকে চাপা দেয় একটি ট্রাক। মূলত তারা ওভারটেক করার জন্য পাল্লা দিয়ে ছুটছিল। আমি আমার গাড়ি রাস্তার পাশে নিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারিনি।’
আরিফুল জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অটোরিকশাটি কিনেছিলেন তিনি। এখন গাড়ি মেরামত ও কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন কীভাবে, সেই চিন্তা তাঁকে গ্রাস করছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরিফুল বলছিলেন, ‘এর চেয়ে আমার মৃত্যুই ভালো ছিল।’
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক ইদ্রীস আলী জানান, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আমরা ট্রাকটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় কুষ্টিয়ায় গত সাত দিনে সাতজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।