Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

চুয়াডাঙ্গা-১: ‘তিনজনই তো আ.লীগের ভোট কারে দিব’

সৌগত বসু ও মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা থেকে

চুয়াডাঙ্গা-১: ‘তিনজনই তো আ.লীগের ভোট কারে দিব’

চুয়াডাঙ্গা সদরের আংশিক এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন। গত বৃহস্পতিবার জেলা শহরের শান্তিপাড়া, সদর উপজেলার আলুকদিয়া এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা শহর ঘুরে দেখা যায়, তিন প্রার্থীর পোস্টার অনেকটা সমান হারে এলাকার মোড় ও রাস্তায় রাস্তায় টাঙানো। বেলা ২টার পর এলাকায় শুরু হয় মাইকিং ও প্রচারণা।

এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল (ঈগল প্রতীক) এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ উপকমিটির সদস্য এম এ রাজ্জাক খান রাজ (ফ্রিজ প্রতীক)।

জেলা শহরের শান্তিপাড়া এলাকার বাসিন্দা তরুণ ভোটার মো. রাসেল জানান, তিন-চার দিন ধরেই এলাকায় প্রচারণা বেড়েছে। তিন প্রার্থীর মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

সদরে বড়বাজার এলাকার চা-বিক্রেতা মো. আশরাফুল বলেন, ‘ভোট কারে দিব, তিনজনই তো আওয়ামী লীগের। ভোটের দিন চিন্তা করে দেখব কাকে ভোট দেওয়া যায়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সমর্থক বলেন, এলাকায় এখন বর্তমান সংসদ সদস্য ইমেজ সংকটে আছেন। সে ক্ষেত্রে অন্য দুজনের পাল্লা ভারী। তবে বিএনপির কোনো কর্মী বা সাধারণ ভোটার এই নির্বাচনে কাউকে ভোট দেবেন না।

এই তিনজনের মতো ডজনের বেশি সাধারণ ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁরা জানান, ছেলুন অনেক আগে থেকে রাজনীতিতে থাকলেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ২০০৮ সাল থেকে। তবে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক ব্যবসায়ী আগারওয়াল ১৫ বছর ধরে রাজনীতিতে আছেন। অন্যদিকে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের মালিক এম এ রাজ্জাক পাঁচ বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়। তাই ভোটের মেরুকরণ হবে রাজনীতিবিদ বনাম ব্যবসায়ীতে।

প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই আসনে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে আওয়ামী লীগের অনেক স্থানীয় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। গত ১৫ বছর সোলায়মান হক ছেলুন সংসদ সদস্য থাকায় একটি অংশ তাঁর বিরুদ্ধে চলে গেছে।

এ বিষয়ে অবশ্য বর্তমান সংসদ সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ থাকায় কথা বলছেন না বলে দাবি দলের নেতাদের। তাঁর নির্বাচনে সমন্বয় করছেন ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। তবে তাঁকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

নৌকার প্রার্থীকে দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হওয়ার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেত্রী চান একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। কারণ, প্রার্থী থেকে এখন ভোটার কেন্দ্রে আনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে কেউ নির্বাচিত হতে পারেন।

ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগারওয়াল বলেন, গত ১৫ বছর মানুষ জেনেছে বর্তমান সংসদ সদস্যের কথা ও কাজ। এখন নেত্রী তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন।

সার্বিক বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন দেশের জন্য জরুরি। তবে সেটা সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক হলে ভালো। এবারের নির্বাচন হয়তো সুষ্ঠু হয়ে যাবে; তবে একটা আক্ষেপ থাকবে যে এটা পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না।’

সুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত

বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীদের দখলে নেওয়া খুলনা নৌপরিবহন গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ

কমিশন বাড়ানোর দাবিতে কুয়েটের দুই প্রকৌশলীকে মারধরের হুমকি ঠিকাদার বিএনপি নেতার

বাগেরহাটে কারাবন্দী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে মিলল ইয়াবা

যশোরে টিসিবির পণ্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

কেশবপুরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার

খুলনায় স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে তিন সুপারিশ

সাতক্ষীরার সাবেক ডিসির গ্রেপ্তার দাবি

বালুভর্তি বস্তার নিচে মিলল শিশুর লাশ