খুলনা প্রতিনিধি
মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের আটক করার দাবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে হামলার প্রতিবাদে মেডিকেলের সামনের সব ওষুধের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের কারণে কর্মসূচি শিথিল ছিল এবং বেশ কিছু চিকিৎসক জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আগামীকাল বুধবার থেকে জোরালোভাবে কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর।
অন্যদিকে ছাত্রদের হামলায় ৪-৫ জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন দাবি করে, হামলাকারীরা আটক না হওয়া পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেলের সামনের বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে ওষুধ কিনতে যায় মেডিকেলের এক ছাত্র। ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। ওষুধের দাম নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁকে অপমান করেন দোকানি।
তিনি আরও বলেন, এরপর বেশ কয়েকজন ছাত্র বিষয়টি জানতে সেখানে গেলে ছাত্রদের সঙ্গে ওষুধের দোকানিদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওষুধ ব্যবসায়ীদের হামলায় ১৫-২০ জন আহত হয়। পরে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত ১২টায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহসভাপতি এস এম কবীর উদ্দিন বাবলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলায় আমাদের ৪-৫ জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা আটক না হওয়া পর্যন্ত, মেডিকেলের সামনের সব ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে।’
পরিস্থিত সম্পর্কে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমতাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি। তবে দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।