কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে ১২টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা নষ্ট হয়েছে। তবে এখনো ১৬টি সচল রয়েছে। ফলে চিকিৎসায় কোনো প্রভাব পড়ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার অনেকগুলোই সহায়তা হিসেবে বেসরকারিভাবে পাওয়া। সেগুলো মেরামতের জন্যও বেসরকারিভাবে সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কোভিড ডেডিকেটেড কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৪টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ছিল। কোভিড রোগীর চাপ বেড়ে গেলে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি আরও ২০টি যন্ত্র অনুদান হিসেবে দেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, প্রয়োজন না পড়ায় এখনো ছয়টি যন্ত্র অব্যবহৃত রয়েছে, এগুলো স্থাপনই করা হয়নি। গত কয়েক দিনে ১২টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নষ্ট হলেও প্রয়োজন না পড়ায় ওই ছয়টি এখনো ইনটেক রয়েছে।
ডা. আবদুল মোমেন জানান, আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ১৭৭ জন করোনাভাইরাস পজিটিভ ও ৭৭ জন কোভিডের উপসর্গ নিয়ে সহ মোট রোগী ভর্তি ২২৪ জন। তবে সবারই এই যন্ত্রের দরকার হয় না। হাসপাতালের ২০০ শয্যাতেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইন আছে। এখন এখানে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সচল আছে ১৬টি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরও জানান, নষ্ট হওয়া সরকারি ক্যানুলাগুলো মেরামতের জন্য ঢাকাতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে বেসরকারি সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।