ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় আহত ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির (২০) মারা গেছেন। সাত দিন পর শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রাতেই যশোর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
জাবির ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর ঊরুতে দুটি গুলি লাগে। পরে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার তেজগাঁও সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়।
শনিবার এ প্রতিবেদক জাবিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। প্রতিবেশীরা জানান, ছেলের মৃত্যুতে বাবা নওশের আলী ও মা শিরিনা খাতুন নির্বাক হয়ে চিকিৎসাধীন।
জাবিরের চাচাতো ভাই মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাচা-চাচির সঙ্গে দেখা করার কোনো পরিস্থিতি নেই। তাঁরা অসুস্থ, নির্বাক হয়ে গেছেন, আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই।’ জাবিরের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা বিচার চান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ বা কিছুই চাওয়ার নেই। আমরা এতটুকুও বলতে চাই না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ন কবির বলেন, শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। পরদিন (শনিবার) সকাল ৯টায় জানাজার সময় দেওয়া থাকলেও শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।