পথ ভুলে পোষা প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুব স্বাভাবিক। শহর কিংবা গ্রামে—ছাড়া পেলে এসব পোষা প্রাণী স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে থাকে। দিন শেষে আবার নীড়ে ফিরেও আসে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে যখন পথ হারিয়ে তারা অন্য কোথাও চলে যায়। পরিস্থিতি আরও গোলমেলে হয় তখন, যখন হারিয়ে যাওয়া প্রাণীটির মালিকানা দাবি করে বসেন দুজন। এমন ঘটনাই ঘটেছে পাইকগাছায়। হারিয়ে যাওয়া একটি গরু খুঁজে পাওয়ার পর এর মালিকানা দাবি করে বসেন দুজন।
গরুর মালিকানা দাবি করা দুজনই শিক্ষক। তাঁদের একজন লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক মণ্ডল, আরেকজন গড়ইখালী ইউনিয়নের শান্তা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুদর্শন মণ্ডল।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার গরুটি হারিয়ে যায়। এটি দীপক মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। তখন আরেক শিক্ষক সুদর্শন মণ্ডল গরুটি তাঁর বলে দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে গড়ইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু ও লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন মিনহাজ বাজারে সালিসে বসেন। সালিসে সিদ্ধান্ত হয়— গরুটি দুই ইউনিয়নের সীমান্তে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর এটি যার বাড়িতে গিয়ে ওঠে তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গরুটি রাখা হয় ইউপি সদস্য আয়ুব আলীর বাড়িতে।
গতকাল রোববার সকালে গরুর গলার দড়ি খুলে দেওয়া হলে এটি মাঠে মাঠে ঘুরতে থাকে। পরে সন্ধ্যায় একাই সুদর্শন মণ্ডলের বাড়ির গোয়ালঘরে গিয়ে ওঠে। এখনো গরুটি তাঁর বাড়িতে অবস্থান করছে। গড়ইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গরুটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীকে। তিনি যেটা করেছেন আমরা মেনে নেব।’